ভালোবাসার গল্প দিয়ে সাজানো ছোট্ট একটি ওয়েবসাইট

November 2019

বন্ধু
writer: Sadia Sanji

---কলিজা কেমন আছিস।
--- হ্যা কলিজা ভালো আছি।
---- কলিজা তোকে একটা কথা বলতাম
--- হ্যা বল না।
--- তোকে ওই দিন বলছি না৷ ইমন নামে একটা ছেলে
ডিসটার্ব করছে।
---- তোরে আবার কল দিছে।
--- আরে তুই রেগে যাচ্ছিস কেনো।
----কাল আনটিকে নিয়ে দেখা কর৷ আমার সাতে।
--- হুম বাই।
এতক্ষন যার সাতে কথা বলছেন। কি ভাবছেন বি এফ জি এফ।
না না। ওরা হলো বন্ধু। আর মেয়েটার নাম হলো সানজিদা।
আর ছেলেটার নাম হলো সানজিদ। দুই জন দুই ধর্মের।
কিন্তু ওদের সম্পর্কটা কোনো রকমের সমস্যা তৈরি হয়
নাই। সানজিদ এর সাতে প্রথম কথা হয় আইডিতে।
--- হ্যালো।
--- হাই ।
--- কেমন আছেন।
--- ভালো আপনি।। এরকম অনেক কথা হয়৷ ওদের সম্পর্কটা
অনেক তাড়াতাড়ি তৈরি হয়৷ হটাৎ একদিন সানজিদা অনলাইনে আসে
নাই। সানজিদ এর খুপ খারাপ লাগছে। কিন্তু নাম্বার নাই৷ যার কারনে
যোগাযোগ রাখা সম্ভব হচ্ছে না। কয়েকদিন পর সানজিদা
অনলাইনে আসে।
--- কি রে তুই কোথায় ছিলি। জানিস কত টেনশনে ছিলাম৷
একটা কল করার প্রয়োজন মনে করিস না। আমার নাম্বার তো
ছিলো তোর কাছে।
----রিলেক্স।এক সাতে এত কথা কেমনে উওর দিবো বল
তো। ।
--- একটা একটাা করে দে।
--- আমি অসুস্থ ছিলাম। ।।
--- এতদিন কি অসুখ ছিলো যে।
--- জর কাশি সর্দি এগুলা।
---- এখন কি অবস্থা। ডাক্তার দেখাইছিস।
--- হুমম।
*--- একটা কথা বলি।
--- হুমমম বল
--- তোর নাম্বার টা দে প্লিজ।
---- ওকে ওয়েট।
কিছুক্ষন পর।।
--- ০১৮৬৪.....
--- tnxxx.
---- আর একটা রিকোয়েস্ট রাখবি।
---- হুম আজকে থেকে তোকে আমি কলিজা ডাকবো।
---- হুম ডাকতে পারিস কিন্তু শর্ত আছে।
---- কি
--- এই কথাটার মান রাখতে হবে। তুমরা তো জি এফ পাইলে
ভুইলা যাও।
---- কি যে বলিস। তুই আগে তার পর অন্যকেউ।
--- ওকে কলিজা আচ্ছা এখন রাখি।
এরকম খুনশুটি মধ্য দিয়ে ওদের সম্পর্কটা গভীর হয়।
যেখানে আছে অনেক শ্রদ্ধা অনেক ভালোবাসা।।
একদিন রাত ১২ সানজিদা অনলাইনে আসে৷ সানজি ওকে
দেখে বলে।
---- কি রে এত রাতে অনলাইনে।
--- একটা হেল্প করবি।
--- ওই তোকে আজ মন মরা লাগছে। কেউ কিছু
বলেছে কি।।
--- না৷ তো
--- বল বলছি।
--- আমি একটা আইডি খুলছি।
--- কি। আর একটা নাম কি। ।
--- আরোহী সানজিদ নিধি৷
---- আমার নাম এখানে কলিজা।
---- হুমম।
--- এখন বল কি হেল্প লাগবে
--- আমার আইডি এটা নষ্ট বা ডি একটিবেট করে দে।
---- কেনো৷
--- প্রবলেম হয়ছে।
--- কলিজা কি সমস্যা বল।
--- একটা ছেলে**-----**********************************
********************
---- আচ্ছা টেনশন নিস না৷ আনটি জানে৷
----- হুমমম।
সানজিদ এর মাধ্যমে। সানজিদা আইডি নষ্ট করে। অন্য
আইডিতে রোজ এসএমএস করে। হটাৎ করে সানজিদা
বলে।
---- কলিজা তোকে ওই দিন একটা নাম্বার দিছি না৷ ওটা ডিসটার্ব
করছে৷ রে।
---- ওয়েট আমি কথা বলছি।
সানজিদ ছেলেটা খুপ বকা ঝকা করে। সানজিদা এতটা বোকা
ছিলো। কাকে কি বললে মাইন্ড করবে এটা জানে না।
সানজিদ বলে।
---- কলিজা তোর সাতে মিট করবো।
---- হুমমম আম্মুকে আনবো।
---- আনটিকে ছাড়া আসলে পা ভেঙে দিবো।
--- এত শাসন কেনো করিস। জানিস না তুই বকা দিলে। কেমন
কেমন লাগে।
---- ওমা তাই।
---- হ্যা।
---- আচ্ছা কাল বিকেল ৫ টায়।
কাল বিকেল ৫ টায় দেখা করে সানজিদ ও সানজিদা ৷ ওর আম্মু
ও ছিলো।
এরকমের মধ্য দিয়ে ওদের ফ্রেন্ডশিপ টা দৃঢ় হয়। প্রায় দু
বছরের কাছাকাছি। । সানজিদা ইন্টার ফাইনাল ইয়ার দিবে। রাস্তায়
আসতে সানজিদার সমস্যা হয়।
সেটা সানজিদ কে বলে।
---- কলিজা আমি যদি তোর কলেজে পড়তাম। তাহলে
রোজ বাইক করে দিয়ে ও নিয়ে আসতাম।
---- তাই৷ ভুলে যাবি বউ পাইয়ে তুই।
--- দূর এমন বলিস না৷ তুই আমার জন্য কি এটা শুধু আমি জানি।
--- হুম আমিও।
সেদিন সানজিদার ইন্টারের টেস্ট পরিক্ষা ছিলো। একটা বিষয়
নিয়ে। সানজি এর সাতে খুপ ঝগড়া হয়। এক পর্যায় বলে
সানজিদ।
--- কলিজা আমি ওরে মারব মানে মারব।
--- প্লিজ৷ তুই এমন করিস মা৷ তুই ও বন্ধু ও বন্ধু । আমি চাই না
আমার দুইটা ভালো ফ্রেন্ড ঝগড়া করুক।
--// তাহলে ও আমার জি এফ এর সাতে কথা কেনো
বলছে৷ ওকে ডিসটার্ব করতে বারন কর তুই।
---- আচ্ছা ।
--// সানজিদা খুপ কষ্টে ঝগড়া না করার বারন করে।
--- কিন্তু সানজিদ শুনছে না।
--- তখন সানজিদা বলে। তুই আমায় বন্ধু ভাবলে তাহলে মারামারি
করবি না।
---- কলিজা এমন বলিস না। আমি কিন্তু করব। তুই এখানে কিছু বলিস
না।
---- ওহহহ আমি কে বলব৷ তাই না৷ তাহলে তুই ডিসাইট কর।
তোর বন্ধ লাগবে নাকি মারামারি করবি।
---এটা কিন্তু ঠিক হচ্ছে না। আমার তোকে লাগবে।
*-/; তাহলে ওকে মারিস না।
---- না মারবো
--- তাহলে আমায় ভুলে যা।
---- ওকে।
----+ আজকে থেকে ভুলে যাবি আমি নামে তোর
লাইফে কেউ ছিলো।
আজকে থেকে সানজিদা নামে কোনো ফ্রেন্ড
ছিলো না। আজকে থেকে তুই মুক্ত । তোকে আমি
আগেও বলেছি জি এফ পাই ভুলে যাবি৷ আজ তাই হলো।
ভালো থাকিস।
আর এভাবে ভেঙে যাই বন্ধুত্বের সম্পর্ক। এখন সানজিদা
কান্না করে ওর জন্য। যার কারনে এসপ হলো আজকে ও
খুপ ভালো আছে। এখন কেউ কলিজা বললে। সানজিদ এর
কথা মনে হয়৷ মনে হয় ওর যত্ন নেওয়ার কথা। কলিজা খাইছিস।
কলিজা কি করিস। কলিজা পড়ালেখা কি অবস্থা। কলিজা আমায় তুই
বন্ধু মনে করিা। অনেক কিছু।
---- সমাপ্ত -----
(( একটা সত্যি ঘটনা। কার সেটা বলব না। এখানে অনেক কথা
ছিলো। লিখি নাই৷ তার অনেক কারন))
( ভুল ত্রুটি ক্ষমা করবেন)
dedicated to kolija friend

না পাওয়া ভালোবাসা
Writer : Sadia Sanji

--- কি রে কি খবর।
---- হ্যাঁ ভালো তোর।
--- আমরা সবাই ভালো৷ ভাবির কি খবর।
--- কোন ভাবি।
--- শালা তোর কয়টা জি এফ মনে নাই।
---- ওহহহ। হয়তো ভালো।
---- কেনো। ঝগড়া করেছিস।
--- না ।। কাল ৩ টায় রিয়ার সাতে কথা বলছিলাম ও কল দিলো
ফোন ওয়েটিং পাই৷ আমি কল দি। শুনতে পাই কান্না করছে ।
অনেক বুজিয়ে ফোন কাটছি।
---- তো তুই রিয়ার সাতে কেনো কথা বলছিলে৷
---- মানে ।
--- নিউ জি এফ। ।
--- হুমমম।
--- তানিশার কি হবে।
---- জানি না৷ ও প্রতিদিন কল দেয়া। এত এত মেসেজ আর
ভালো লাগে না৷ painful মেয়ে।।
---- জানতিস যখন এমন করবি তাহলে রিলেশন করলি কেনো।
---- আগে জানলে করতাম না। ।
হটাৎ করে কল আসলো।
--- হ্যালো।
---- কেমন আছো।
--- ভালো।
,--- খেয়েছ।
--- হুমম।
--- কোথায় এখন।
--- এই তো আড্ডা দিচ্ছি।
---কাল একটু দেখা করতে পারবে।
--- কাল আমার কাজ আছে৷
--- তাহলে পরেের দিন।
--- হুমমম
এই বলে ফোন কেটে দিলো।
--- কি রে কাব্য কে কল দিলো।
---- তানিশা।
--- কেনো।
---কাল দেখা করতে চাই।
--- তো করবি না।
--- না। কাল রিয়ার সাতে বের হতে হবে।
--- এক সাতে দুইজন নিয়ে আছো মামু। তুমার দিন।
--- কয়েকদিন পর একজন হয় যাবে।
--- মানে।
--- তানিশার সাতে ব্রেকআপ করে দিবো। ।।
--- হুমমম। আমি যাই।
এই বলে রিহান ওখান থেকে চলে আসে।
কাব্য রাতে খাওয়া দাওয়া করে শুয়ে পড়ে। হটাৎ মোবাইলে
কল আসে। স্কিনে দেখে তানিশা। সে রিসিভ করে না।
বেশ কয়েকবার ফোন দিলে রিসিভ করে।
---- হ্যালো।
--- এতক্ষন কোথায় ছিলে এতবার কল করেছি
--- ঘুমিয়ে পড়েছিলাম।।।
--- ওহহহ। একটা কথা বলি।
---- হু বলো।
--- আমায় কি আর ভালো লাগে না তুমায়।
---- উলটা পাল্টা বলো না৷ যদি এসপ বলতে কল করো
তাহলে আমি ফোন রেখে দিচ্ছি।
এই বলে আবার ফোন কেটে দিলো। ওদিকে তানিশা
কান্না করছে। রাত ৩ টায় তানিশা কল দেয়৷ কাব্যের ফোন
ওয়েটিং। বেশ কয়েকবার কল দেয়৷ তারপর ও ওয়েটিং। সে
আর কল দেয় না।
সকাল বেলা রেডি হয়ে তানিশা কলেজে যায়৷ আজকে
অনেক মন মরা। কোনো রকম ক্লাস করে কলেজ
থেকে আসার পথে দেখতে পাই৷ কাব্য রিয়ার সাতে
হেসে কথা বলছে রেস্টুরেন্টে। তানিশার চোখ
থেকে জল গড়িয়ে পরে৷ বাসায় গিয়ে শাওয়ারে বসে
অনেক কান্না করে৷ রেডি হয়ে রুমে চলে আসে৷ কাব্য
কে কল দেয়।
---- রিং রিং রিং
---????
-- বেশ খানিক পর।
--- কি সমস্যা এতবার কেনো কল দিচ্ছ।
---- কি করছ খাইছ।
--- তোমার সাতে ফালতু কথা বলার সময় নাই আমার।
--- রিয়ার সাতে হেসে কথা বলার সময় আছে।
--- কাব্য চুপ করে থাকে।
---কাল একটু আাসবে।
--- হুম।
তানিশা ফোন কেটে দেয়৷ কেনো এমন করো তুমি।
জানো না কত ভালোবাসি।।৷ মনে পরে না তুমার আমার সাতে
কাটানো মুহুর্তগুলো । কেনো এরকম পাল্টে গেলে।
বিকেল ৪ টায় তানিশা অপেক্ষা করছে কাব্যের জন্য। কাব্য
আসে।
--- কেমন আছো। (কাব্য)
--- হুম ভালো। ( তানিশা)
---- কেন ডেকেছ।
--- কেনো তুমি জানো না। আমি তুমার সাতে কেন দেখা
করি।
---- আমি তুমাকে কিছু কথা বলতে এসেছি।
---- বলো।
--- দেখ তানিশা। আমি ঘুরিয়ে পেচিয়ে কথা বলতে পারি না৷ তাই
সোজাসুজি বলছি৷ আমার পক্ষে সম্ভব না সম্পর্ক টা রাখার।
---- কাব্য
---- কান্না করে লাভ নাই। এক তরফা ভালোবাসা দিয়ে কিছু হয়না।
--- তুমি কি বলছ। তুমি ঠিক আছো।
--- এতদিন ছিলাম না। এখন ঠিক আছি।
--- প্লিজ কাব্য এমন করো না৷ আমি তুমাকে খুপ ভালোবাসি।
তুমি ও তো শিখিয়েছিলে ভালোবাসা কি৷ তুমি তো প্রমিস
করেছিলে আমাকে ছেড়ে যাবে না।
--- এগুলা আমার অভিনয়৷ তা তুমি সত্যি মনে করলে আমার কিছু
করার নাই।
--- কাব্য সবসময় দুষ্টামি ভালো লাগে না।
--- আমি সিরিয়াস।
--- কাব্য আমার দোষটা কি বলো না।
---- আমি জানি না৷ আমাকে আর ডিসটার্ব করবে না। চলি।
ভালো থেকো।
এই বলে কাব্য চলে গেলো।
তানিশা মাটিতে বসে কান্না করে। তুমি আমার সাতে এমন
করতে পারো না৷ আমাকে মাঝ পথে ছাড়তে পারো না।।
ভালো থেকো বলে গেলে। তুমায় ছাড়া আমি কি করে
ভালো থাকবো । এই বলে কান্না করতে থাকে। প্রায় ৪
টায় বাসায় যায়। রুমে বসে থাকে৷ আর কাব্যর সাতে কাটানো
সময়গুলো মনে করে। এক সময় বকবক করা মেয়েটা
আজকাল চুপ থাকে। হটাৎ একদিন তানিশার মা জিজ্ঞেস করে।
--- কি হয়েছে তোর৷ ।
--- না মা কিছু না৷ কি হবে।
--- আগের মতো কথা বলিস না৷
--- কেনো এই পরিবর্তন কি ভালো না৷ তুমি তো বলতে
একটু চুপচাপ থাকতে বেশি কথা না বলতে।
--- আমি তোকে এরকম নিরব হয়ে যেতে বলি নাই৷ আর
খাওয়া দাওয়া করিস না একা একা বসে থাকিস। কি হয়েছে বল।
--- কিছু না৷ এক্সাম নিয়ে টেনশনে আছি৷
--- সত্যি তো।
--- হুমমম
এই বলে তানিশার আম্মু চলে গেলো। তানিশা ও এখন
আগের মতো থাকার চেষ্টা করছে। সেদিন রিকশা দিয়ে
যাওয়ার সময় দেখতে পাই৷ কাব্য রিয়ার সাতে আসতেছে।
তানিশা সামনে ফিরে চলে যায়।।
যে যার মতো জীবনে সুখ খুঁজে নিচ্ছে৷ আর কেউ
সুখে থাকার মানুষ খুঁজতেছে৷ ৷ কাব্য রিয়ার সাতে কথা
বলছিলো৷ হটাৎ করে তানিশার ফোন আসে৷ কাব্য রিয়ার
সাতে কথা বলে। ওর তেমন মাথা ব্যাথা নাই। তানিশা আবার কল
করে। কাব্য ফোন রিসিভ করে বলে।
--- সমস্যা টা কি তুমার।
---- কেমন আাছো।
--- ভালো আছি। তুমি ফোন না দিলে আরো ভালো
থাকতাম।
--- আজকে কয় তারিখ মনে আছে।
--২৪ তারিখ৷ এবার কথা শেষ হলে রাখি।।
--- তানিশা ফোন কেটে দিয়ে কান্না করে। আমি তুমাকে
কষ্ট দেওয়ার জন্য কল দি নাই। আজকে আমাদের
সম্পর্কের ৩ বছর হবে৷ আজকে আমাদের দেখা হওয়ার
হওয়ার কথা মনে আছে কি না তা জানতে ফোন দিয়েছি৷ তুমি
সত্যি আমাকে ভুলে গেলে৷ কেমনে পারলে আমাকে
ঠকাতে। কেন করলে এত ছলনা৷ এরকম ভাবতে তানিশার মাথা
ব্যথা করে৷ চারিদিকে অন্ধকার লাগছে৷ সহ্য করতে না
পেরে ওর মাকে ডাক দেয়।
----- আম্মু.............
তানিশার মা এসে দেখে তানিশা মাথায় হাত দিয়ে চাপ দিয়ে
বসে আছে৷ ওর মা জিজ্ঞেস করে৷
--- কি হয়েছে। এরকম ডাকছিস কেন।
--- তানিশা কিছু বলতে পারপ সেখানে পড়ে যায়। তানিশার মা
তানিশার ভাই আর বাবাকে ডেকে হাসপাতালে নিয়ে আসে।
তানিশাকে চেক আপ করা হয়৷ কিছু রিপোর্ট পরিক্ষা দেয়
করানোর জন্য৷ এদিকে তানিশার আর আম্মু কান্না করছে৷
সবার চোখে মুখে ভয়৷ ডাক্তার সবাইকে চিন্তা করতে বারন
করে৷ তানিশাকে দুই দিন হাসপাতালে রাখা হয়৷ ডিসচার্জ দেওয়ার
সময় ডাক্তার বলে কাউকে উনার সাতে আসতে। তানিশার ভাই
আরাফ যায়।
---- আসবো।
--- হুমম বসুন।
---ডেকেছেন যে আমায়।
--- আপনাকে যে আমি যে জন্য ডেকেছি। আপনি
হয়তো তা বিশ্বাস করবেন না। কিন্তু কথাটা আমি সবার সামনে
বলতে পারতান৷ কিন্তু ওখানে সবাই বিচলিত ও ভয়ে আছেন৷
তাই আপনাকে জানাচ্ছি।
--- কি হয়েছে আপনি বলুন।
---মিস্ তানিশার ব্রেইন টিউমার।
---- আপনি কি বলছেন৷ এগুলা৷ ঠিক কথা বলুন ( অনেকটা
রেগে)।
--- আপনি শান্ত হোন৷ আপনি এরকম তানিশা ও বাইরের
সবাইকে কে সামলাবে।
---- যে করে হোক আমার বোনকে বাঁচান৷ প্লিজ।।।
---- আমি হলান ডাক্তার বাঁচার মালিক হলো আল্লাহ। এখন কিছু বলা
যাচ্ছে না। অপারেশন করলে বাঁচবে কি না তা জানি না৷উনার
অবস্থা অনেক ক্রিটিকেল। আপনি উনাকে ঠিক মতো ঔষধ
খাওয়ান৷ কোনো প্রকার টেনশন উনি যেন না নেয়।
--- ওকে doctor..
doctor এর কথায় আরাফ এর জীবন যেন৷ ওখানে থমকে
গেলো। ও সবাইকে নিয়ে বাসায় আসে৷ তানিশাকে শুয়ে
দিয়ে৷ বসার রুমে সবাইকে ডাকে।
---- কেন ডাকছিলি আমাদের।
---- তুমরা বসো৷ আমি কি বলছি৷ তা বুজার চেষ্টা করবা৷ অযথা
কান্না করবে না।
--- doctor কিছু বলেছে।
--- হুমম৷
আরাফ সবাইকে doctor এর কথা বলে।
--- আল্লাহ কেনো বার বার আমাদের সাতে এমন করে।
আমার বড় মেয়েকে ও উনি কেড়ে নিলো। আর
আজকে। তানিশাকেও।
--- তুমরা এমন করো না। তানিশা কে সামলাতে হবে। ও যেন
কোনো প্রকার টেনশন না নেয়।
--- হুমম।
সবাই জীবন যেন ওখানে রয়ে গেলো। আগের
মতো কেউ এখন কথা বলে না৷ মুখ ভার ভার৷ শুধু তানিশার
সামনে হাসার চেষ্টা করে। তানিশার খটকা লাগে৷ তাই সবাইকে
বলে
--- তুমরা সবাই কি লুকাচ্ছো আমার থেকে।
--- কই কিছু না।
--- তুমরা বলবা ( কিছু টা রেগে।
তানিশাকে সবাই বসিয়ে দিয়ে । বলে
-- তুই এমন কেনো করছিস৷
--- বলো কি হয়েছে৷ হাসপাতাল থেকে আসার পর
থেকে এমন করছ।।।
---- কোথায় না তো।
---- বলবা( চিল্লিয়ে)
তারপর আরাফ ওকে সব কথা বলে। তানিশা খানিক চুপ থাকে। ওর
চুপ থাকা সবাইকে যেন ঘাবড়ে দিচ্ছে।
--- তুমার কেনো এত টেনশন করছ।
---- আর আমি তো আছি।৷। --- ও মা৷ তুমি আমাকে খাওয়ায় দাও
নাই এতদিন৷
তানিশার কথা শুনে সবাই কান্না করে দেয়। । তানিশার মা ওকে
জড়িয়ে ধরে বলে। আমার মেয়ের কিছু হবে না।
তানিশা খেয়ে রুমে চলে যায়। তারপর অনেক কান্না করে৷

তারপর ডাইরিতে লিখতে বসে।
প্রিয় মা ;
মা আমি তুমাকে অনেক ভালোবাসি। তুমি আমার জীবনে
সবচেয়ে বড় উপহার৷ মা তুমাকে কিছু বলতে হয় না সব
বুজে ফেলো। মা তুমাকে জড়িয়ে ধরে হবে না আর৷
আমি জানি আমার সময় খুব কম। মা তুমার হাতে আর খাওয়া হবে
না। ও মা আমার এখন বাঁচতে ইচ্ছে করছে। ও মা তুমি কি আমায়
ভুলে যাবা৷ মা আমি অন্ধকার খুপ ভয় পাই৷ কেমনে থাকবো৷
ওখানে।। মা তুমি টেনশন নিয়ো না৷ আমি তো অনেক
সাহসী। তুমি ভালো থেকো৷ i love you ma,
প্রিয় ভাই আরাফ;
আমি জানি তুই আমায় ভাই৷ কিন্তু ভাই থেকে বেষ্ট ফ্রেন্ড
বেশি কপন জানিস৷ তুই আমার সব কথা নিজের তৈরি করিস মতো
লাগে। ভাই সরি৷ তোর সাতে ওই দিন রেগে কথা বলি নাই
তাই। ভাই আমি ছাড়া এখন তুই ভরসা ফেমলির জন্য। আব্বু
আম্মুকে তোকে দেখতে হবে। ভাই তুই ভালো থাকিস৷
আর আমার
---- প্রিয় কাব্য।।
কেমন আছো। হয়তো অনেক অনেক ভালো। আমার
চিঠি টা যখন পড়বে তখন৷ আমি থাকব না। জানো কাব্য তুমায় খুপ
ভালোবাসি৷ জানে তুমার সাতে কাটানো সময়গুলা বারবার মনে
পরে৷ তুমি যখন বলো ডিসটার্ব করো না তখন যেন মনে
হয় কেউ কলিজা ছিড়ে নিয়ে যাচ্ছে। এখন আর তুমায়
ডিসটার্ব করব না৷ তুমি যখন রিয়ার সাতে আমার খুপ কষ্ট হয়৷ তুমি
কষ্ট টা বুজো না৷ কাব্য তুমি হয়তো জানো না৷ তুমার ফোন
ওয়েটিং পেলে আমার কেমন লাগে। সেদিন শুধু কল
দিয়েছি৷ আমাদের সম্পর্কের কথা জানাতে৷ কত বছর সাতে
ছিলাম তা জানতে৷ তুমি আমাকে সেদিন কথা শুনালে। একটা
সত্যি কথা বলবে৷ আমাকে কোনোদিন ভালোবাসো নাই৷
আমাকে একটু মনে পরে নাই৷ তুমার৷ না রিয়া তুমায় আমার
চাইতে বেশি ভালোবাসে ছিল৷ অনেক বলেছি আর না তুমি
তুমার জীবনে সুখি হও৷ ।..
ইতি
তানিশা।
তানিশা চিঠি টা লিখে৷ সব চিঠি ঠিক জায়গায় রেখে দেয়৷ কাব্যর
চিঠি টা রিহানকে রাখতে বলে ওর যদি কিছু হয়ে যায় তখন
দিতে বলে।
কয়েকদিন পর তানিশার অপারেশন৷ সবাই ওর খুপ যত্ন করছে।
ওকে ভালো রাখার চেষ্টা করছে।
দেখতে দেখতে অপারেশন date চলে আসে৷
তানিশাকে তৈরি করে৷ তানিশা সবার থেকে৷ ক্ষমা নিয়ে চলে
যায়৷ তানিশার অপারেশন শুরু হয়৷ বাসার সবাই কান্না করছে।
রিহান কাব্যর কাছে যায়৷ ।
---- কি রে কেমন আছিস।
---- ভালো না।
--- কেনো।
--- রিয়া আমাকে ধোকা দিয়েছে৷
---- কেনো।
--- অন্য আরেকজন এর জন্য।
--- তুই যেমন করেছিলে।.
--- জানিস তানিশা কে খুপ মিস্ করছি৷ আমি ওকে ভালোবাসি
রে৷ কেনো যে একটা আবেগ এর কারনে ওকে
ছাড়লাম৷ ওর কাছে গিয়ে ক্ষমা চাইতে হবে।
--- না আর পারবি না৷ দেরি করে ফেলেছিস৷
---- মানে
--- ধর এটা৷ আর ও তোকে খুপ ভালোবাসতো৷ ।
কাব্য তানিশা চিঠি টা পড়ে কান্না করে। আর আজকে ওর
চোখে কোনো অভিনয় না৷ প্রিয় মানুষকে হারানোর ভয়
দেখা যাচ্ছে। কাব্য কিছু বলতে পারে না৷ সোজা
হাসপাতালে চলে যায়। গিয়ে ও থমকে যায়৷ তানিশাকে একটা
সাদা কাপড়ে মুড়িয়ে রেখেছে৷ ওর আপন মানুষ সব ওকে
গিরে কান্না করছে।
কাব্য আর কিছুক্ষন ওয়েট করতে পারলে না ৷ তানিশা বলে
ডাক দিয়ে ওর কাছে যায় ও তানিশা উঠো না৷ তানিশা ভুল করেছি
একবার ক্ষমা করে দাও৷ ডিসটার্ব করার জন্য তুমায় প্রয়োজন৷
তানিশা আমি ভালোবাসিত তোমায়৷ আমাকে একা করে
যেওনা৷ আমার কাছে তুমি ছাড়া কেউ নাই। তানিশা কে আমাকে
বকবে৷ কে আমাকে ভালোবাসবে৷ কে বলবে৷
খেয়েছ৷ তানিশা চলে যায় না ফেরার দেশে। সত্যি কাব্য
আজকে একা হয়ে যায়৷ ওর অবহেলা ওকে একা করে
দেয়৷
আমরা কিছু কিছু মানুষের এত আপন না চাইতে তাদের
ভালোবেসে ফেলি। সত্যি ভালোবাসা পবিত্র৷ আমরা এই
পবিত্র ভালোবাসকে অবহেলা করি। সময় স্রোত কারো
জন্য অপেক্ষা করে না। সবাই সবার মতো চলে যায়৷
থেকে যায় শুধু ভালোবাসা।
--- সমাপ্ত----
( ভুল ত্রুটি ক্ষমা করবেন)

গল্পঃ প্রথম ভালোবাসা
Writer: Sadia Sanji

প্রতি রাতে ওয়েট করি। শুধু ওর একটা এস এম এস এর জন্য।
চোখ জানে কত পানি জড়িয়েছি। বালিশে জানে কতটুু
কেঁদেছি। তোমার সাতে আমার হয়তো কথা হয়েছিলো
আইডিতে।
সেদিন তুমি আমাকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট দিয়েছিলে।
কিন্তু আমি একসেপ্ট করতে দেরি করি।
কিন্তু দেরি টা বেশি হয় নাই। তুমার সাতে আমার কথা হয়।
---- হাই।
---- হ্যালো।
--- কেমন আছেন।
---- জি ভালো।
নিজের আর ওর সম্পর্কে ডিটেইলস আদান প্রদান করছিলাম।
হটাৎ করে ও একদিন বলে উঠে ফ্রেন্ডশিপ করবে না।
আমি বলি করব।
---এরকম অনেক কথা হয়। আস্তে আস্তে ফ্রেন্ডশিপ টা
ভালোবাসায় রুপান্তর হয়। নিজেদেরই খেয়াল ছিলো না।
সে আমাকে প্রপোজ করে।।৷
--- আমি কিছু না ভেবে হ্যা বলে দি।
--- ও আইডিতে রিলেশনশিপ দেয়।৷
আমার আাইডিতে রিলেটিভ থাকার কারনে ওকে এটা ডিলিট
করতে বলে।।
আমার সব কথা ও শুনতো। আমি শুনতাম।
আমি আর ও রোজ কথা বলতাম। দিন কখন আসতো রাত কখন
যেত খেয়াল ছিল না। এক সময় চ্যাট করতে গিয়ে ঘুমিয়ে
পড়ি। ওর সাতে ভিডিও কলে কথা হয়। ও আমার সুন্দর একটা নাম
ও রাখে নূপুর।
ও আমাকে খুপ ভালোবাসতো৷ কেউ কাউকে ছাড়া থাকা
অসম্ভব ছিলো। আমাদের সম্পর্কটা ছিলো টম এন্ড
জেরির মতো। রোজ ঝগড়া করতাম৷ কিন্তু রাত শেষে
দুজন খুপ হাসিহাসি খুশি থাকতাম৷ একদিন ওর সাতে খুপ ঝগড়া হয়।
দুদিন চ্যাট করি নাই। ও করে নাই। কিন্তু ওর প্রফাইল থেকে
চোখ সরে নাই। দুদিনপর রাত,৩ টায় মেসেজ দেয়।
----এত রাতে অনলাইনে কি৷
----প্রেম করি।
---- নূপুর
--- তোর জন্য ওয়েট করছি কুত্তা কত কষ্ট পাইছি।
---- মেসেজ তো করস নাই।।
--- রাগ তো তুই করলি।
--- উল্টা কথা কে বললো
--- সরি৷
--- আমি সরি।
আবার দুজন কথা বলে। এরকম ওর সাতে কথা ঝগড়ার মধ্যে
দিয়ে। দিন যায়। প্রায় সাত মাসের কাছাকাছি।।
একদিন রাতে ও বলে।
--- ওই তোমার মোবাইলে গান আছে।
--- হুম ১০৯ টা।
--- সব ডিলিট করো এখন। দোয়া রাখতে পারো না।
--- ওগুলা আছে তো।
--- এই তো আমার জান খুপ ভালো।
প্রায় কয়েকদিন পর নূপুর অনলাইনে আসে নাই। রিদয় প্রায়
পাগল অবস্থা।
নূপুর রাতে নক করে।
--- কেমন আছো।
--- তোমার সাতে কথা নাই।
--- রাগ করো না প্লিজ। একটু প্রবলেম হয়ছে। আমি
কয়েকমাস।
--- আমার কি হবে।। কল করো কথা বলব।
--- হুমম
সেদিন এর মতো নূপুর অনলাইনে আসে নাই। ।
এভাবে ফোনে কথা হতো ওদের। ২ মাস ৪ দিন পর নূপুর
অনলাইনে আসে। গিয়ে রিদয়কে নক করে।
--- কেমন আছো।
--- ভালো না।
--- কেনো কি হয়েছে।
--- অনেক কথা আছে।
--- হুমম বলো।
--- আমার ফেমলিতে ( পারসোনাল তাই বলছিনা আপনারা
সবাইকে)
--- এখন কি অবস্থা সবাই ভালে আছে তো।
--- না আব্বু আম্মু অনেক কষ্ট পেয়েছি। আমার খুপ কান্না
পাচ্ছে।
--- শুনো তুমি বাড়ির বড় ছেলে তোমায় সবকাজ করতে
হবে। ফেমলিকে দেখতে হবে। নিজের খেয়াল ও
রাখতে হবে। তোমাকে তো আমি নিশান এর আব্বু বলি।
--- সত্যি তুমি আমার লাইফো না থাকলে কি হতো।
--- আমি আছি তো।
আবার অফলাইন হয়ে যায়৷ রিদয় এর ফেমলি সমস্যা এর জন্য
তেমন একটা অনলাইনে আসে না। নূপুর রিদয়ের জন্য
অনলাইনে আসে রোজ। আবার কথা হতো৷ কিন্তু আগের
চাইতে রিদয় নুপুর কে খুপ যেন এভয়েট করছে। কথা
যেন খুপ কষ্ট করে বলছে। নূপুর বলে
--- তুমি কি আমায় এভয়েট করছো।
--- না কেনো
--- সেরকম তো মনে হয়।।
---একটু সমস্যা নিয়ে আছি আরকি।।
--- তুমি তোমার ফেমলির কারনে আমাদের রিলেশন
ব্রেকআপ করবে না তো।
--- না।
--- হুমম
নূপুর নিশ্চিত ছিলো ও এরকম কিছু করবে। কিন্তু ও তা করতে
দিবে না৷ খুপ ভালোবাসে।
একদিন রাতে নুপুর বলে।
--- তুমি কিন্তু আগের মতো কথা বলছ না৷
--/ তুমার লাগতেছে যে কই কথা বলি তো
--- তুমি মিথ্যা বলছো।
---- একটা মিসবিহেভ করে।
--- নূপুর খুপ অবাক হয়৷ তবুও বলে কথা।
--- তুমি কিন্তু আগের রিদয় নাই।
--- আমার ফেমলি রিলেশনের ঘোর বিরুদী আমাদের
সম্পর্ক মানবে না।
--- আমরা মানিয়ে নেবো।
--- কোনো কথা বলে নাই। অফলাইনে চলে যায়।
সেদিন রাতে খুপ কান্না করে। তবুপ ওর সাতে রিলেশন
ভাঙতে চাই না।
--- তারপরের দিন রিদয় বলে।
তোমার থেকে অনেক কষ্ট পেয়েছি৷ তুমি কারনে
অকারনে রেগে যাও। তুমার সাতে সম্পর্ক রাখা সম্ভব না।
আর আমরা পালিয়ে গিয়ে মা বাবার মনে কষ্ট দিতে পারব না।
--- কে বলছে পালাবো। আমরা ওদের মানাবো।
--- হবে না।
--- প্লিজ রিদয় এমন বলো না। আমি তোমায় খুপ ভালোবাসি।
আমাকে কে ডাকবে পাগলি। কে আমায় সবসময় বকা দিবে।
কে আমাকে বকা দিয়ে রাতে আইসক্রিম খেতে বারন
করবে। কে বলবে রাতে খেয়ে নাও। কে আমায়
বলবে রাগ টা কট্রোল করো।
---- সরি।।
ব্লক করে দেয়।
আর কথা হয় না। নাম্বার কল যায় না।
নূপুর এখন ওর অপেক্ষা করে। এখন কান্না করে। শুধু এতটুকু
বলতো।কি দোষে এরকম করলো ও।
আজ প্রতিরাতে অনলাইনে থাকলেও মন থেকে চ্যাট টা
করে না৷ নীরব এর বারন ছিলো আমি ছাড়া কারো সাতে
কথা বলো না পাগলি। যেদিন রিলেশন ভাঙতে যায় সেদিন
ছিলো নূপুরের এইচ এস সি পরিক্ষার ইংরেজি সাবজেক্ট।
কিন্তু এটা জানা সত্যি ও রিদয় ব্রেকআপ করে।
জুলাই মাসে ২৮ তারিখ আবার রিকোয়েস্ট দেয় রিদয়৷ নূপুর
একসেপ্ট করে। কিন্তু মেসেজ যাচ্ছে না। অনেক
কষ্টে ব্লক টা আনবল্ক করে কথা বলে। কিন্তু মাসে
মিলে একবার।
এখন বলুন দোষটা কার।
আমার মনে হয় নূপুরের।
...সমাপ্ত....

অভিনয়
Writer: Sadia Sanji


---- হেই কেমন আছো।
--- নো রিপ্লাই।
---- তুমি কি বিজি।
--- নো রিপ্লাই।
--- মেসেজ দিছি দেখছ না।
--- সরি কাজে ব্যস্ত ছিলাম।
--- থাকো তোমার কাজ নিয়ে।
--- শুন না সত্যি কাজ করছি।
--- আমি অনলাইনে আসলে তুমার কাজ থাকে। এমনে দিন রাত
থাকে না তোমার কাজ।
--- তুমি কিন্তু বাড়াবাড়ি করছ।
---- করব৷ ১ বছর এর রিলেশন। মাঝখানে তুমি এসে এভয়েট
করছ।
---- তোমার যা মনে হয়।
Bye..
নূপুর আর রিদয় দুজন দুজনকে অনেক ভালোবাসে।
ওদের প্রথম দেখা হয়েছিলো কলেজে।
---- এই যে শুনছেন।
--- জি আমাকে বলেছেন।
--- আপনার এটা পরে গেছিলো।
---- tnx...
--- শুধু ধন্যবাদ দিবেন৷ আর কিছু বলবেন না।
---- whaat
--- bye থাকবেন। ।
সেদিন ওই রিয়াদ আর নূপুরের সাতে দেখা হয়।
তার কয়েকদিন পর দেখো নুপুর রাস্তা পার হচ্ছে। হটাৎ ওর
ফোন পরে যায়। খেয়াল না করায়। রিকশা নিয়ে চলে
আসে।
রিদয় মোবাইলটা নিয়ে পিছে গেলে কিন্তু খুঁজে পাওয়া যায়
নাই।
--- নুপুর বাসায় গিয়ে মোবাইল খুঁজলে না পেয়ে৷
মোবাইলে কল দেয়। সাতে সাতে রিসিভ করে রিদয়।
--- হ্যালো।
--- ঐ তুই কোন কুত্তা। লচু। হাতি৷ কালো মশা। পিশাচ৷ আমার
মোবাইল এর উপর তোর নজর গেলো। আবার রিসিভ
করেছিস। সাহস তো কম না।
--- এই যে মিস্ ঠিক করে কথা বলেন।
--- চোরের সাতে আবার ঠিক করে কথা বলবো।
--- ওই সাট আপ।।
নুপুর রিদয় কথায় চুপ হয়ে যায়। রিদয় নূপুর বলে ওর মোবাইল
কথায় পেলো। নূপুর তা শুনে লজ্জায় পরে যায়। তবুও
বলে।
--- আমার মোবাইল কখন পাবো।
--- কাল কলেজে।
--- ওকে গুড নাইট।
রিদয় ফোন কেটে দিয়ে মোবাইল চেক করে
নূপুরের । অনেক সুন্দর করে পিক তুলেছে। রিদয় ছবিগুলা
ওর মোবাইলে শেয়ার নেয়৷ আইডিতে ঢুকে যা দেখল।
ওর চোখ ডগায় উঠে যায়।।
কি মেয়েরে বাবা সবাইকে মামা ; ভাই; চাচা বানিয়ে রাখছে৷
আর আইডিতে অনেক পিক আপলোড দিছে। সব অনলি মি
করা। রিদয় একটা পিক দেখে অবাক হয়ে থাকে।
কি ভাবে একটা মেয়ে এত সুন্দর হয়। হাসি টা যেন কি মন
কেঁড়ে নেওয়ার মতো।
এভাবে সকাল হয়ে যায়। রিদয় কলেজের মাঠে ওয়েট
করে নূপুরের জন্য। প্রায় মিনিট দু এক পর নূপুর আসে।
---- সরি কাল মিসভিহেব করলাম।
---- it's ok..
--- আমার মোবাইল।।
--- এই যে নেন। আর মোবাইলে লক দিতে শিখুন।
---- omg আপনি আমার সব পারসোনাল দেখে
ফেলেছেন।।
--- এটা বলতে।।
--- ভালো করেন নাই।।
--- হুম জানিত তো।
বাট আপনার কাছে কিছু চাইবো।
--- বলেন। সার্থে তাকলে দিবো।
---- ফ্রেন্ডশিপ করতে পারি।৷
--- of course..
--- তাহলে আইডিতে রিকোয়েস্ট টা একসেপ্ট করেন।
--- ওকে।।
রিদয় আর নূপুর অনেক কথা বলে। বিকেল ৩ টায় যে যার
মতো চলে যায়। রিদয় চলে আসে। তার বন্ধুদের
আড্ডায়। আর বলে।
---- বন্ধু পাখি খাঁচায় আটকা পড়েছে।।
--- কি বলিস।
--- হ্যা।
--- এবার কাজ টা কি।।
--- কেনো আমার শখ মানে হ্যাবিট মন নিয়ে খেলা করা।
---- মামু তুমি অনেক পেকে গেছ।
--- তা আর বলতে।
এতক্ষন যারা কথা বলছে। এরা হলো রিদয় এর বন্ধু তিয়াস;
সুজয় আর সুনীল।।
---- জানিস সেদিন ও কাজটা এমনে এমনে হলো
আজকেও।
---- হুমমম।
আর তৈরি হয় একটা মিথ্যা অভিনয় নিয়ে ভালোবাসার সম্পর্ক।
নূপুর ও এই মিথ্যা ভালোবাসায় দিন দিন গভীর ভাবে তলিয়ে
যাচ্ছে। পরে কি হবে এটা একবারের জন্য ভাবে নাই৷
রোজ কথা বলতো নূপুর রিদয় এর সাতে। কিন্তু রোজকার
মানুষ টার সাতে আজকের মানুষ টা খুপ তফাত।।
নূপুর অনেক কান্না করে৷ হটাৎ করে প্রিয় মানুষ টা কেনো
বদলে গেলো৷ তা ওর জানতে হবে।
সে সকালের অপেক্ষা করে। রিদয়ের বদলে যাওয়াটা
বের করার জন্য।
তাই সে সকালে তারাতারি রেডি হয়ে কলেজে চলে যায়।
দেখা হয়৷ নিলয় এর সাতে।
---- কি রে তুই এখানে।
--- একটা কাজে আসলাম।
--- কি কাজ৷
--- এই ছেলেকে চিনিস।
--- আরে এই তো রিদয়৷ তুলিকার বি এফ।
--- ভালো করে দেখে বল।
--- আরে আমি তোকে মিথ্যা বলব কেনো।।
--- হুমমম।
--- কেনো কিছু হয়েছে।
নূপুর নিলয়কে তার রিলেশন এর কথা বলে। কিন্তু নিলয় ওর
কথা শুনে অবাক হয় নাই৷ কারন রিদয় এমন তা ও ভালো জানে।।
--- তো এখন কি করবি।
--- কিছু না৷ bye
নূপুর সেদিব এর পর থেকে রিদয় এর সাতে আর কথা বলে
নাই। কিন্তু রিদয় সাতে কাটানো মুহুর্তের কথা ভেবে কান্না
করে৷ ওর ছবি সব এখন ও রেখে দিয়েছে। মাস খানিক পর
খবর আসে৷ রিদয় নাকি খুপ অসুস্থ । নূপুর তা জেনে ওকে
দেখতে যায়। ওখানে গিয়ে দেখে রিদয়ের অবস্থা
তেমন ভালো না৷ গায়ে জর৷ চোখে তাকানো যাচ্ছে না
যেনো লাল হয়ে আছে চোখ মুখ।
নূপুর ওর কাছে গিয়ে ওকে সেবা করে৷ মাথায় পানি
ঢেলে দেয়৷ ঔষুধ খাইয়ে দেয়৷ প্রায় সাতদিন পর রিদয়
ভালো হয়ে উঠে। কিন্তু যে রিদয়কে নূপুর আবিষ্কার
করে সে আগের রিদয় থেকে অনেক পরিবর্তন । সে
নূপুরের খবর নেয়। তারপর নূপুরের কলেজে এডমিশন
নতুন করে। কিন্তু একবারের জন্য নূপুরের দেখা পাই নাই।
মাস তিন এক পর নূপুর কলেজে ছাদ থেকে নিচে
আসছিলো। হটাৎ কে যেন ওর মুখ চেপে ধরে রুমে
চলে যায়। কিন্তু কে সে ভালো করে বুজতে
পেরেছে।
--- তুমি এতদিন কোথায় ছিলে জানো কত খুঁজেছি আমি
তোমাকে। তোমার নাম্বার অফ কেনো।
--- শুনেন আপনি কাকে খুজেছেন ফোন দিয়েছেন এটা
আমার জানার বিষয় না। আমাকে যেতে দিন। আর আমি
আপনাকে চিনি না।
---- কি। তুমি আমাকে চিনো না।
--- না৷ কারে গিরগিটিরা মিনিটে মিনিটে রং বদলায়৷ আর আমি সাদাসিধা
মানুষকে পছন্দ করি৷ কোনো প্রতারককে না।
---- নূপুর তুমি কিন্তু আমায় অপমান করছ।
--- কিসের অপমান৷ আমার ভালোবাসাকে দিনের পর দিন
অবহেলা করেছেন এটা অপমান হয় নাই৷ নানান রকমের
মেয়ের সাতে রাত কাটিয়েছেন এটা অপমান করা হয় নাই৷
ঘন্টার পর ঘন্টা অনলাইনে থেকে আমার মেসেজ এর
রিপ্লাই দেন নাই এটা অপমান করা হয় নাই।
---- আই এম সরি। তোমার সাতে অন্যায় করার জন্য। আমাকে
ক্ষমা করে দাও প্লিজ ।
---- সত্যি কি তা করা যায়।
--- কেনো যায় না যায়। ফাঁসির সময় মানুষকে শেষ ইচ্ছে
জিজ্ঞেস করা হয়৷ তুমি আমাকে সেই সুযোগ টা দাও। আমি
আগের রিদয় না৷ আমি বদলে গিয়েছি।
--- অনেক দেরি করে ফেলেছেন৷ আপনার অভিনয়গুলা
সত্যি মনে করে মরিচিকায় পিছনে দৌড়ে ছিলাম। এখন আমার
পক্ষে পিছনে ফেরা সম্ভব না৷ আর আমি নূপুর কখনও
পিছুটান রাখি না।।
--- কেনো রাখ না। আর যদি না রাখতে কেনো আমায় নতুন
জীবন দিয়েছিলে। কেনো বা রোজ বাসায় এসে আমার
কেয়ার করেছিলে।
---- ভালোবাসতাম তাই সব করতাম।
--- তো এখন কি ভাসো না।
---- ভাসি তো কিন্তু তুমি দিকে যতবার ফিরে যাবো ততবার তুমি
আমাকে অবহেলার কথা মনে পরবে। তুমার আমাকে
ধোঁকা দেওয়ার কথা মনে পরবে। আমি চাই না আমার প্রিয়
মানুষটা আমার ঘৃণার মানুষ হোক।
------ প্লিজ নূপুর আমাকে ফিরিয়ে দিও না৷ তুমি ছাড়া আমি একা।৷
---- ভালো থাকিও। আর আমাদের সম্পর্কটা কলেজে তৈরি
হয়েছে৷ তাই কলেজে শেষ করলাম।
নূপুর চলে আসে একবারের জন্য ফিরে তাকিয়ে দেখে
নাই।
রিদয় ওখানে হাঁটু গেড়ে কান্না করে৷ আমরা আপন মানুষ
কে অবহেলা করি। কিন্তু আপন মানুষ টা যখন না থাকে। তখন
বুজা যায় তার জায়গা কোথায়৷ সবাই ভুল বুজে৷ আসলে ভুল
বোজা টা না৷ ভুল টা শুধরে দিয়ে তাকে নতুন ভাবে পথ চলার
তাগিদ দেওয়ায় হলো ভালো মানুষের কাজ৷ আজ হয়তো
নুপুর কান্না করেছে কিন্তু সে রিদয়কে ভালোবাসা কি তা
বুজিয়েছে৷ তার চাইতে বড় পাওয়া আর কিছু হতে পারে মান৷
মান অভিমান একটা সম্পর্ক ভেঙে দেয়৷ তাই মান অভিমান বাদ
দিয়ে নিজের মানুষকে আপন করে নেওয়ায় হলো
ভালোবাসার সার্থক।
------ সমাপ্তি ------
( ভুল ত্রুটি ক্ষমা করবেন)

MKRdezign

Contact Form

Name

Email *

Message *

Powered by Blogger.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget