ভালোবাসার গল্প দিয়ে সাজানো ছোট্ট একটি ওয়েবসাইট

না পাওয়া ভালোবাসা - Sad Love Story

না পাওয়া ভালোবাসা
Writer : Sadia Sanji

--- কি রে কি খবর।
---- হ্যাঁ ভালো তোর।
--- আমরা সবাই ভালো৷ ভাবির কি খবর।
--- কোন ভাবি।
--- শালা তোর কয়টা জি এফ মনে নাই।
---- ওহহহ। হয়তো ভালো।
---- কেনো। ঝগড়া করেছিস।
--- না ।। কাল ৩ টায় রিয়ার সাতে কথা বলছিলাম ও কল দিলো
ফোন ওয়েটিং পাই৷ আমি কল দি। শুনতে পাই কান্না করছে ।
অনেক বুজিয়ে ফোন কাটছি।
---- তো তুই রিয়ার সাতে কেনো কথা বলছিলে৷
---- মানে ।
--- নিউ জি এফ। ।
--- হুমমম।
--- তানিশার কি হবে।
---- জানি না৷ ও প্রতিদিন কল দেয়া। এত এত মেসেজ আর
ভালো লাগে না৷ painful মেয়ে।।
---- জানতিস যখন এমন করবি তাহলে রিলেশন করলি কেনো।
---- আগে জানলে করতাম না। ।
হটাৎ করে কল আসলো।
--- হ্যালো।
---- কেমন আছো।
--- ভালো।
,--- খেয়েছ।
--- হুমম।
--- কোথায় এখন।
--- এই তো আড্ডা দিচ্ছি।
---কাল একটু দেখা করতে পারবে।
--- কাল আমার কাজ আছে৷
--- তাহলে পরেের দিন।
--- হুমমম
এই বলে ফোন কেটে দিলো।
--- কি রে কাব্য কে কল দিলো।
---- তানিশা।
--- কেনো।
---কাল দেখা করতে চাই।
--- তো করবি না।
--- না। কাল রিয়ার সাতে বের হতে হবে।
--- এক সাতে দুইজন নিয়ে আছো মামু। তুমার দিন।
--- কয়েকদিন পর একজন হয় যাবে।
--- মানে।
--- তানিশার সাতে ব্রেকআপ করে দিবো। ।।
--- হুমমম। আমি যাই।
এই বলে রিহান ওখান থেকে চলে আসে।
কাব্য রাতে খাওয়া দাওয়া করে শুয়ে পড়ে। হটাৎ মোবাইলে
কল আসে। স্কিনে দেখে তানিশা। সে রিসিভ করে না।
বেশ কয়েকবার ফোন দিলে রিসিভ করে।
---- হ্যালো।
--- এতক্ষন কোথায় ছিলে এতবার কল করেছি
--- ঘুমিয়ে পড়েছিলাম।।।
--- ওহহহ। একটা কথা বলি।
---- হু বলো।
--- আমায় কি আর ভালো লাগে না তুমায়।
---- উলটা পাল্টা বলো না৷ যদি এসপ বলতে কল করো
তাহলে আমি ফোন রেখে দিচ্ছি।
এই বলে আবার ফোন কেটে দিলো। ওদিকে তানিশা
কান্না করছে। রাত ৩ টায় তানিশা কল দেয়৷ কাব্যের ফোন
ওয়েটিং। বেশ কয়েকবার কল দেয়৷ তারপর ও ওয়েটিং। সে
আর কল দেয় না।
সকাল বেলা রেডি হয়ে তানিশা কলেজে যায়৷ আজকে
অনেক মন মরা। কোনো রকম ক্লাস করে কলেজ
থেকে আসার পথে দেখতে পাই৷ কাব্য রিয়ার সাতে
হেসে কথা বলছে রেস্টুরেন্টে। তানিশার চোখ
থেকে জল গড়িয়ে পরে৷ বাসায় গিয়ে শাওয়ারে বসে
অনেক কান্না করে৷ রেডি হয়ে রুমে চলে আসে৷ কাব্য
কে কল দেয়।
---- রিং রিং রিং
---????
-- বেশ খানিক পর।
--- কি সমস্যা এতবার কেনো কল দিচ্ছ।
---- কি করছ খাইছ।
--- তোমার সাতে ফালতু কথা বলার সময় নাই আমার।
--- রিয়ার সাতে হেসে কথা বলার সময় আছে।
--- কাব্য চুপ করে থাকে।
---কাল একটু আাসবে।
--- হুম।
তানিশা ফোন কেটে দেয়৷ কেনো এমন করো তুমি।
জানো না কত ভালোবাসি।।৷ মনে পরে না তুমার আমার সাতে
কাটানো মুহুর্তগুলো । কেনো এরকম পাল্টে গেলে।
বিকেল ৪ টায় তানিশা অপেক্ষা করছে কাব্যের জন্য। কাব্য
আসে।
--- কেমন আছো। (কাব্য)
--- হুম ভালো। ( তানিশা)
---- কেন ডেকেছ।
--- কেনো তুমি জানো না। আমি তুমার সাতে কেন দেখা
করি।
---- আমি তুমাকে কিছু কথা বলতে এসেছি।
---- বলো।
--- দেখ তানিশা। আমি ঘুরিয়ে পেচিয়ে কথা বলতে পারি না৷ তাই
সোজাসুজি বলছি৷ আমার পক্ষে সম্ভব না সম্পর্ক টা রাখার।
---- কাব্য
---- কান্না করে লাভ নাই। এক তরফা ভালোবাসা দিয়ে কিছু হয়না।
--- তুমি কি বলছ। তুমি ঠিক আছো।
--- এতদিন ছিলাম না। এখন ঠিক আছি।
--- প্লিজ কাব্য এমন করো না৷ আমি তুমাকে খুপ ভালোবাসি।
তুমি ও তো শিখিয়েছিলে ভালোবাসা কি৷ তুমি তো প্রমিস
করেছিলে আমাকে ছেড়ে যাবে না।
--- এগুলা আমার অভিনয়৷ তা তুমি সত্যি মনে করলে আমার কিছু
করার নাই।
--- কাব্য সবসময় দুষ্টামি ভালো লাগে না।
--- আমি সিরিয়াস।
--- কাব্য আমার দোষটা কি বলো না।
---- আমি জানি না৷ আমাকে আর ডিসটার্ব করবে না। চলি।
ভালো থেকো।
এই বলে কাব্য চলে গেলো।
তানিশা মাটিতে বসে কান্না করে। তুমি আমার সাতে এমন
করতে পারো না৷ আমাকে মাঝ পথে ছাড়তে পারো না।।
ভালো থেকো বলে গেলে। তুমায় ছাড়া আমি কি করে
ভালো থাকবো । এই বলে কান্না করতে থাকে। প্রায় ৪
টায় বাসায় যায়। রুমে বসে থাকে৷ আর কাব্যর সাতে কাটানো
সময়গুলো মনে করে। এক সময় বকবক করা মেয়েটা
আজকাল চুপ থাকে। হটাৎ একদিন তানিশার মা জিজ্ঞেস করে।
--- কি হয়েছে তোর৷ ।
--- না মা কিছু না৷ কি হবে।
--- আগের মতো কথা বলিস না৷
--- কেনো এই পরিবর্তন কি ভালো না৷ তুমি তো বলতে
একটু চুপচাপ থাকতে বেশি কথা না বলতে।
--- আমি তোকে এরকম নিরব হয়ে যেতে বলি নাই৷ আর
খাওয়া দাওয়া করিস না একা একা বসে থাকিস। কি হয়েছে বল।
--- কিছু না৷ এক্সাম নিয়ে টেনশনে আছি৷
--- সত্যি তো।
--- হুমমম
এই বলে তানিশার আম্মু চলে গেলো। তানিশা ও এখন
আগের মতো থাকার চেষ্টা করছে। সেদিন রিকশা দিয়ে
যাওয়ার সময় দেখতে পাই৷ কাব্য রিয়ার সাতে আসতেছে।
তানিশা সামনে ফিরে চলে যায়।।
যে যার মতো জীবনে সুখ খুঁজে নিচ্ছে৷ আর কেউ
সুখে থাকার মানুষ খুঁজতেছে৷ ৷ কাব্য রিয়ার সাতে কথা
বলছিলো৷ হটাৎ করে তানিশার ফোন আসে৷ কাব্য রিয়ার
সাতে কথা বলে। ওর তেমন মাথা ব্যাথা নাই। তানিশা আবার কল
করে। কাব্য ফোন রিসিভ করে বলে।
--- সমস্যা টা কি তুমার।
---- কেমন আাছো।
--- ভালো আছি। তুমি ফোন না দিলে আরো ভালো
থাকতাম।
--- আজকে কয় তারিখ মনে আছে।
--২৪ তারিখ৷ এবার কথা শেষ হলে রাখি।।
--- তানিশা ফোন কেটে দিয়ে কান্না করে। আমি তুমাকে
কষ্ট দেওয়ার জন্য কল দি নাই। আজকে আমাদের
সম্পর্কের ৩ বছর হবে৷ আজকে আমাদের দেখা হওয়ার
হওয়ার কথা মনে আছে কি না তা জানতে ফোন দিয়েছি৷ তুমি
সত্যি আমাকে ভুলে গেলে৷ কেমনে পারলে আমাকে
ঠকাতে। কেন করলে এত ছলনা৷ এরকম ভাবতে তানিশার মাথা
ব্যথা করে৷ চারিদিকে অন্ধকার লাগছে৷ সহ্য করতে না
পেরে ওর মাকে ডাক দেয়।
----- আম্মু.............
তানিশার মা এসে দেখে তানিশা মাথায় হাত দিয়ে চাপ দিয়ে
বসে আছে৷ ওর মা জিজ্ঞেস করে৷
--- কি হয়েছে। এরকম ডাকছিস কেন।
--- তানিশা কিছু বলতে পারপ সেখানে পড়ে যায়। তানিশার মা
তানিশার ভাই আর বাবাকে ডেকে হাসপাতালে নিয়ে আসে।
তানিশাকে চেক আপ করা হয়৷ কিছু রিপোর্ট পরিক্ষা দেয়
করানোর জন্য৷ এদিকে তানিশার আর আম্মু কান্না করছে৷
সবার চোখে মুখে ভয়৷ ডাক্তার সবাইকে চিন্তা করতে বারন
করে৷ তানিশাকে দুই দিন হাসপাতালে রাখা হয়৷ ডিসচার্জ দেওয়ার
সময় ডাক্তার বলে কাউকে উনার সাতে আসতে। তানিশার ভাই
আরাফ যায়।
---- আসবো।
--- হুমম বসুন।
---ডেকেছেন যে আমায়।
--- আপনাকে যে আমি যে জন্য ডেকেছি। আপনি
হয়তো তা বিশ্বাস করবেন না। কিন্তু কথাটা আমি সবার সামনে
বলতে পারতান৷ কিন্তু ওখানে সবাই বিচলিত ও ভয়ে আছেন৷
তাই আপনাকে জানাচ্ছি।
--- কি হয়েছে আপনি বলুন।
---মিস্ তানিশার ব্রেইন টিউমার।
---- আপনি কি বলছেন৷ এগুলা৷ ঠিক কথা বলুন ( অনেকটা
রেগে)।
--- আপনি শান্ত হোন৷ আপনি এরকম তানিশা ও বাইরের
সবাইকে কে সামলাবে।
---- যে করে হোক আমার বোনকে বাঁচান৷ প্লিজ।।।
---- আমি হলান ডাক্তার বাঁচার মালিক হলো আল্লাহ। এখন কিছু বলা
যাচ্ছে না। অপারেশন করলে বাঁচবে কি না তা জানি না৷উনার
অবস্থা অনেক ক্রিটিকেল। আপনি উনাকে ঠিক মতো ঔষধ
খাওয়ান৷ কোনো প্রকার টেনশন উনি যেন না নেয়।
--- ওকে doctor..
doctor এর কথায় আরাফ এর জীবন যেন৷ ওখানে থমকে
গেলো। ও সবাইকে নিয়ে বাসায় আসে৷ তানিশাকে শুয়ে
দিয়ে৷ বসার রুমে সবাইকে ডাকে।
---- কেন ডাকছিলি আমাদের।
---- তুমরা বসো৷ আমি কি বলছি৷ তা বুজার চেষ্টা করবা৷ অযথা
কান্না করবে না।
--- doctor কিছু বলেছে।
--- হুমম৷
আরাফ সবাইকে doctor এর কথা বলে।
--- আল্লাহ কেনো বার বার আমাদের সাতে এমন করে।
আমার বড় মেয়েকে ও উনি কেড়ে নিলো। আর
আজকে। তানিশাকেও।
--- তুমরা এমন করো না। তানিশা কে সামলাতে হবে। ও যেন
কোনো প্রকার টেনশন না নেয়।
--- হুমম।
সবাই জীবন যেন ওখানে রয়ে গেলো। আগের
মতো কেউ এখন কথা বলে না৷ মুখ ভার ভার৷ শুধু তানিশার
সামনে হাসার চেষ্টা করে। তানিশার খটকা লাগে৷ তাই সবাইকে
বলে
--- তুমরা সবাই কি লুকাচ্ছো আমার থেকে।
--- কই কিছু না।
--- তুমরা বলবা ( কিছু টা রেগে।
তানিশাকে সবাই বসিয়ে দিয়ে । বলে
-- তুই এমন কেনো করছিস৷
--- বলো কি হয়েছে৷ হাসপাতাল থেকে আসার পর
থেকে এমন করছ।।।
---- কোথায় না তো।
---- বলবা( চিল্লিয়ে)
তারপর আরাফ ওকে সব কথা বলে। তানিশা খানিক চুপ থাকে। ওর
চুপ থাকা সবাইকে যেন ঘাবড়ে দিচ্ছে।
--- তুমার কেনো এত টেনশন করছ।
---- আর আমি তো আছি।৷। --- ও মা৷ তুমি আমাকে খাওয়ায় দাও
নাই এতদিন৷
তানিশার কথা শুনে সবাই কান্না করে দেয়। । তানিশার মা ওকে
জড়িয়ে ধরে বলে। আমার মেয়ের কিছু হবে না।
তানিশা খেয়ে রুমে চলে যায়। তারপর অনেক কান্না করে৷

তারপর ডাইরিতে লিখতে বসে।
প্রিয় মা ;
মা আমি তুমাকে অনেক ভালোবাসি। তুমি আমার জীবনে
সবচেয়ে বড় উপহার৷ মা তুমাকে কিছু বলতে হয় না সব
বুজে ফেলো। মা তুমাকে জড়িয়ে ধরে হবে না আর৷
আমি জানি আমার সময় খুব কম। মা তুমার হাতে আর খাওয়া হবে
না। ও মা আমার এখন বাঁচতে ইচ্ছে করছে। ও মা তুমি কি আমায়
ভুলে যাবা৷ মা আমি অন্ধকার খুপ ভয় পাই৷ কেমনে থাকবো৷
ওখানে।। মা তুমি টেনশন নিয়ো না৷ আমি তো অনেক
সাহসী। তুমি ভালো থেকো৷ i love you ma,
প্রিয় ভাই আরাফ;
আমি জানি তুই আমায় ভাই৷ কিন্তু ভাই থেকে বেষ্ট ফ্রেন্ড
বেশি কপন জানিস৷ তুই আমার সব কথা নিজের তৈরি করিস মতো
লাগে। ভাই সরি৷ তোর সাতে ওই দিন রেগে কথা বলি নাই
তাই। ভাই আমি ছাড়া এখন তুই ভরসা ফেমলির জন্য। আব্বু
আম্মুকে তোকে দেখতে হবে। ভাই তুই ভালো থাকিস৷
আর আমার
---- প্রিয় কাব্য।।
কেমন আছো। হয়তো অনেক অনেক ভালো। আমার
চিঠি টা যখন পড়বে তখন৷ আমি থাকব না। জানো কাব্য তুমায় খুপ
ভালোবাসি৷ জানে তুমার সাতে কাটানো সময়গুলা বারবার মনে
পরে৷ তুমি যখন বলো ডিসটার্ব করো না তখন যেন মনে
হয় কেউ কলিজা ছিড়ে নিয়ে যাচ্ছে। এখন আর তুমায়
ডিসটার্ব করব না৷ তুমি যখন রিয়ার সাতে আমার খুপ কষ্ট হয়৷ তুমি
কষ্ট টা বুজো না৷ কাব্য তুমি হয়তো জানো না৷ তুমার ফোন
ওয়েটিং পেলে আমার কেমন লাগে। সেদিন শুধু কল
দিয়েছি৷ আমাদের সম্পর্কের কথা জানাতে৷ কত বছর সাতে
ছিলাম তা জানতে৷ তুমি আমাকে সেদিন কথা শুনালে। একটা
সত্যি কথা বলবে৷ আমাকে কোনোদিন ভালোবাসো নাই৷
আমাকে একটু মনে পরে নাই৷ তুমার৷ না রিয়া তুমায় আমার
চাইতে বেশি ভালোবাসে ছিল৷ অনেক বলেছি আর না তুমি
তুমার জীবনে সুখি হও৷ ।..
ইতি
তানিশা।
তানিশা চিঠি টা লিখে৷ সব চিঠি ঠিক জায়গায় রেখে দেয়৷ কাব্যর
চিঠি টা রিহানকে রাখতে বলে ওর যদি কিছু হয়ে যায় তখন
দিতে বলে।
কয়েকদিন পর তানিশার অপারেশন৷ সবাই ওর খুপ যত্ন করছে।
ওকে ভালো রাখার চেষ্টা করছে।
দেখতে দেখতে অপারেশন date চলে আসে৷
তানিশাকে তৈরি করে৷ তানিশা সবার থেকে৷ ক্ষমা নিয়ে চলে
যায়৷ তানিশার অপারেশন শুরু হয়৷ বাসার সবাই কান্না করছে।
রিহান কাব্যর কাছে যায়৷ ।
---- কি রে কেমন আছিস।
---- ভালো না।
--- কেনো।
--- রিয়া আমাকে ধোকা দিয়েছে৷
---- কেনো।
--- অন্য আরেকজন এর জন্য।
--- তুই যেমন করেছিলে।.
--- জানিস তানিশা কে খুপ মিস্ করছি৷ আমি ওকে ভালোবাসি
রে৷ কেনো যে একটা আবেগ এর কারনে ওকে
ছাড়লাম৷ ওর কাছে গিয়ে ক্ষমা চাইতে হবে।
--- না আর পারবি না৷ দেরি করে ফেলেছিস৷
---- মানে
--- ধর এটা৷ আর ও তোকে খুপ ভালোবাসতো৷ ।
কাব্য তানিশা চিঠি টা পড়ে কান্না করে। আর আজকে ওর
চোখে কোনো অভিনয় না৷ প্রিয় মানুষকে হারানোর ভয়
দেখা যাচ্ছে। কাব্য কিছু বলতে পারে না৷ সোজা
হাসপাতালে চলে যায়। গিয়ে ও থমকে যায়৷ তানিশাকে একটা
সাদা কাপড়ে মুড়িয়ে রেখেছে৷ ওর আপন মানুষ সব ওকে
গিরে কান্না করছে।
কাব্য আর কিছুক্ষন ওয়েট করতে পারলে না ৷ তানিশা বলে
ডাক দিয়ে ওর কাছে যায় ও তানিশা উঠো না৷ তানিশা ভুল করেছি
একবার ক্ষমা করে দাও৷ ডিসটার্ব করার জন্য তুমায় প্রয়োজন৷
তানিশা আমি ভালোবাসিত তোমায়৷ আমাকে একা করে
যেওনা৷ আমার কাছে তুমি ছাড়া কেউ নাই। তানিশা কে আমাকে
বকবে৷ কে আমাকে ভালোবাসবে৷ কে বলবে৷
খেয়েছ৷ তানিশা চলে যায় না ফেরার দেশে। সত্যি কাব্য
আজকে একা হয়ে যায়৷ ওর অবহেলা ওকে একা করে
দেয়৷
আমরা কিছু কিছু মানুষের এত আপন না চাইতে তাদের
ভালোবেসে ফেলি। সত্যি ভালোবাসা পবিত্র৷ আমরা এই
পবিত্র ভালোবাসকে অবহেলা করি। সময় স্রোত কারো
জন্য অপেক্ষা করে না। সবাই সবার মতো চলে যায়৷
থেকে যায় শুধু ভালোবাসা।
--- সমাপ্ত----
( ভুল ত্রুটি ক্ষমা করবেন)

Post a Comment

[blogger]

MKRdezign

Contact Form

Name

Email *

Message *

Powered by Blogger.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget