আলোর পথে গমন - পর্বঃ - ২
লিখাঃ Dhokabaj Shamim
পর্বঃ২
---- হুমম।
--- বাবা তোমার সাতে আমার কথা ছিলে।
--- হ্যাঁ বলো।
---- বাবা তোমার কোম্পানিতে জব করব।
----- এএএএএএ
---হ্যাঁ বাবা। তুমি জানো আমি হিসাব বিজ্ঞান
নিয়ে পরছি কারন। আমি চাকরি করবো তাই।
---হুমমম ঠিক আছে। কাল তোকে সবার কাছে পরিচয়
করিয়ে দিবো।
---- না। ওখানে কেউ জানবে না আমি তোমার
মেয়ে। আর সপ্তাহে ৩ দিন যাবো।
--- ঠিক আছে।
--- আমার খাওয়া শেষ। আমি উঠলাম।।
রহিমা চাচি একটু রুমে আসিও তোমার সাতে কথা
আছে।
--- হ্যাঁ আপামনি।।
--- রহিমা চাচি। তুমি আমাকে নাম ধরে ডাকবে।।।
কয়বার বলছি।
এই বলে মুসকান চলে আসলো রুমে। পরার টেবিল এ
বসে কি জেন প্যাক করছে।
---- আপা মনি ডাকছিলে।
---- রহিমা চাচি। তুমি আবার কিন্তু।।
--- আপামনি এটা কিছু কই না।
---- হুমমম।শোনো।। আমার খাটের পাশে ২ টা ব্যাগ
আছে।এগুকা নাও তো।
--- আপা মনি নিছি এগুলা কি।
--- কাপড় কিনছিলাম তোমার মেয়ের জন্য। এগুলা
ওকে দিও।
---- আপা মনি। তুমি না খুপ ভালা।।
আপা মনি আমি গেলাম।
--- হুমমম
মুন টেবিল থেকে উঠে ছাদে গেলো। কিছুক্ষন
ওখানে থেকে। নিচে চলে এলো।
রাতে সবাই ডিনার করে শুয়ে পড়লো।
সকাল ৫.০০টা মুমতাহিনা নামায পরে। কোরআন
তেলওয়াত করে নিলো।
সকালে নাস্তা খেয়ে। ওর বাবার সাথে অফিসে
চলো গেলো।
অফিসে ওর বাবা।সব
স্টাপদের বললো।
আজ থেকে ও এই অফিসে চাকরি করবে। আমার
একাউন্ট দেখাশুনা করবে।
---- জি স্যার।
মুমতাহিনা সবার সাতে পরিচিত হয়ে চলে আসলো।
কয়েকটা স্টাপ বলে উঠলো।
--- কি মানুষ রাকছে স্যার। একদম আন স্মার্ট।
-- মুৃমতাহিনা শুনে ও কিছু বলে নাই।।
সেদিন ওখান থেকে ও কলেজে চলে আসলো।
মুমতাহিনা ক্লাস করছে। ক্লাস শেষে ও চলে যাবে।
সে সময় আরমান বলে উঠলো
---- তুমার নাম মুমতাহিনা।
--- জি কেন।
--- জাফর আংকেল তোমার কি হয়। ওখানে কেনো
থাকো।
--- উনি আপনার কি হয়।
--- আমার বাবার বন্ধু
--- ওওও।।
--- বললে না যে।
--- আমার পরিচয় না জানলে কি নয়।
---- বলো।
--- আমি উনার মেয়ে।
---- হোয়াট। এরকম খেত আনস্মার্ট ; আন্টি উনার
মেয়ে হতে পারে না।
--- এটা আপনার বিষয়। আমার না।
এই বলে মুমতাহিনা চলে আসলো।
রাতে খাওয়ার সময়। মুমতাহিনা বাবাকে বললো।
---- বাবা তুমার কোনো বন্ধুর ছেলে আমাদের
কলেজে পড়ে।
---- হ্যাঁ ।। শফিক শিকদারের ছেলে।
--- হুমম
--- কেনো তোকে কিছু বলেছে।।
--- না না।।
মা আমার কালকে তাড়াতাড়ি কলেজ যেতে হবে।
তুমি একটা কাজ করিও। আমাকে একটু মনে করিয়ে
দিও।
--- ঠিক আছে।
মুমতাহিনা সকাল সকাল উঠে নামায পরে কুরআন
তেলওয়াত করে। ওর মা এসে ডাক দেয়।
মুমতাহিনা নাস্তা করে নে।
--- মা আসছি।
মুৃমতাহিনা রেডি হওয়ে নাস্তা করে কলেজে চলে
যায়।
আজকে ক্লাস একটু তাড়াতাড়ি শুরু হয়েছে।
মুমতাহিনা তার সীট বসে।
একটা মেয়ে এসে ওকে জিজ্ঞেস করে।।
--- তুমার পাশে কি আমি বসতে পারি।
--- বসুন।
--- তুমি কি এই কলেজে নতুন।
--- জি।।
--- তুমি কোথায় থাকো।
--- আমি বারিক বিল্ডিং থাকি।
--- ও ওখানে কে কে থাকে
--- কেন আমার ফেমলি।
-- তুমার আব্বুর নাম
--- জাফর
--- ওয়েট ওয়েট।তুমি বিসনেজম্যান জাফর এর কথা
বলছ তো।
--- হ্যা।। আমি উনার মেয়ে
--- কি ইম্পসিবল।
--- কেনো
-- উনারা বড় লোক আর উনার মেয়ে কত স্মার্ট।
--- কেন এরকম সাধারন হতে পারে না।
--- তা না তবুও।
--- শোনো টাকা আছে বলে আমরা স্মার্ট। সট্যাটাস
এগুলো থাকবে কোনো কথা নেই।এমনে সাধারন
ভাবে বাঁচা যায়।
--- if u Don't mDon't mind একটা কথা বলি
--- হ্যাঁ বলো।
--- তুমার সাতে আমি বন্ধুত্ব করতে পারি।
--- হ্যাঁ পারো।কিন্তু আমার কিছু কথা তোমায়
রাখতে হবে।
----- কি কথা।
--- এখন যেরকমন কলেজ এসেছ ওরকম আসবে না।কারন
তুমার রুপ সৌন্দর্য দেখার অধিকার শুধু তেমার
হাসবেন্ড এর। আর আমি এটা বলছি না আমার মতো
আসে। মাতায় উড়না দিবা। মুখে মাস্ক দিবা। নামায
পরবা। মিথ্যা বলবা না। সারাক্ষন আল্লাহ কে স্মরন
করবা।
--- আমি তো একদিনে এতকিছু করতে পারব না।
--- কেন ধীরে ধীরে করবা।
--- তুমাকে ধন্যবাদ কিছু তো শিখলাম।
শুনো স্যার আসছে। পরে কথা বলব।
--- হুমম
স্যার তুমাদের সবার কাছ থেকে আমার অনেক কিছু
জানার আছে।
--- জি স্যার।
--- তুমরা সবাই কোথায় পড়েছ। এক এক করে বলো।
প্রথমে আরমান বলো।
--- স্যার আমি মহসিন কলেজ এর ছাত্র ছিলাম।
--- স্যার ওহ গুড।
স্যার এক এক করে সবার কাছ থেকে ইনফরমেশন
নিয়ে মুন এর কাছে আসে।
--- স্যার আমি লন্ডন পড়ালেখা করেছি।
ক্লাসের সবাই।
--- হোয়াট। i can't believe this.
স্যার Silent plzzz
তুমি বলো।
জি স্যার। আমি মিথ্যা বলি না।
--- তুমাকে দেখে তো মনে হচ্ছে না।
---- না হওয়ার কথা।
--- তুমার বাবার নাম কি।
---জাফর আহমেদ।
---কি তুমার বাবা।
--- জি আপনারা যেটা বুজেছেন আমি তার মেয়ে।
কিন্তু স্যার। আমি উনার মেয়ে বলে ভুল করবেন না।
আমি সাধারণ মানুষ।
--- ওয়াও তুমি সেই মেয়ে যাকে পেয়ে সব মা বাবা
গর্ব করবে। তুমরা সবাই শুনো কলেজে একটা
প্রোগ্রাম হচ্চে ওখানের জন্য,নাম লিখাতে পারো।
এই বলে স্যার চলে গেলো।ক্লাসে সবাই মুন এর
সাতে কথা বলতে আসছে। শুধু আরমান ছাড়া।
এক পর্যায় নিহা বলে।
--- তুমি এই যুগের মেয়ে।শুধু আধিযুগ কেন পালন করছ।
--- যুগ বলতে কিছু নাই। আল্লাহ ভয় থাকতে হবে।
আজকের মতো মুন কলেজ থেকে অফিস যাই। গিয়ে
দেখে ওর বাবা কথা বলছে।
--- may i come in sir
--- yes come in
--- আজকে একটু লেট হলো। কলেজে ছিলাম তাই।
স্যার আমার কাজ।
--- তুমি আগে বসো পানি খাও তারপর কাজ।
--- এটা কে রে তুই এত যত্ন করছিস।
--- আরে শফিক আমার মেয়ে। মুন
--- কি বলিস এত বড় হয়ে গেছে। আর এত পর্দাশীল।
---- হ্যাঁ ও আমার মেয়ে।
---- আংকেল আসসালামু ওয়ালাইকুম।
--- হে ওয়ালাইকুম আসসালাম।তুমি কেমন আছে মা।
কোথায় পড়।
--- জি আলহামদুলিল্লাহ ভালো। আমি***** কলেজে
পড়ি।
--- ওখানে তো আমার ছেলে ও পড়ে।
---- জি আংকেল আমি দেখেছি। আংকেল আমি
আসি।
-- হুমম
তো তোর কি খবর।
--- আর আমার খবর . ছেলেটাকে নিয়ে খুপ টেনশন এ
ছিলাম।
--- কেন কি হয়েছে।
--- খুপ বাজে হয়ে গেছে। কাউকে মানে না। যখন যা
চাই তাই করে। আমিও কিছু বলতে পারি না
--- তো কি ভাবছিস। আর টেনশন এখন কই গেছে
তোরতুই বেটা মেয়ে মানুষ করে ফেলছিস। কিন্তু
আমার টেনশন দূর করতে একজন কে পেয়েছি।
---- কে।
--- আজ তোর ভাবিকে নিয়ে বাসায় যাবো। তোদের
তখন বলবো।
--- ওকে।
--- এখন আমি আসি।
- হুমম
(ভুল ত্রুটি ক্ষমা করবেন)
Next.....
Post a Comment